

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে জাদুকাটা নদীর তীরে লাউয়ের গড়ে অবস্থিত শিমুল বাগান। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিমুল বাগান। বসন্তকালে যখন শিমুল ফুল ফোটে, তখন এই বাগানটি তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ করে তোলে।
শিমুল বাগানটি ২০০০ সালে জয়নাল আবেদীন নামে এক ব্যক্তি প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে তৈরি করেন। এই বাগানে প্রায় ৩০০০ শিমুল গাছ রয়েছে। বসন্তকালে যখন ফুল ফোটে, তখন চারদিকে লাল রঙের এক অপূর্ব দৃশ্য তৈরি হয়।
শিমুল বাগানটি বর্তমানে একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক এই বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন।
শিমুল বাগান কখন যাবেন?
লাল টকটকে শিমুল ফুল দেখতে হলে অবশ্যই ফাল্গুন মাসের শুরুর দিকে যেতে হবে। অর্থ্যাৎ ফেব্রুয়ারির ১০ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে গেলেই সেখানকার আসল সোন্দর্জ উপভোগ করতে পারবেন।
এবং বর্ষায় গেলে ফুল না থাকলেও সবুজ শিমুল বাগান, টাঙ্গুয়ার হাওর দেখা পাবেন। তখন পানিতে পরিপূর্ণ থাকে। তখন শিমুল বাগানে গেলে টাঙ্গুয়ার হাওর ও ঘুরে দেখতে পারবেন হাউসবোট করে।
কিভাবে যাবেন?
শুকনো ,মৌসুমে সুনামগঞ্জ থেকে লাউড়ের গড় হয়ে, অথবা তাহিরপুর হয়ে, শিমুল বাগান যাওয়া যায়। যেভাবেই যেতে চান সময় লাগবে প্রায় দেড় থেকে ২ঘন্টা। সারাদিনের জন্যে গাড়ি রিজার্ভ করলে শিমুল বাগান, বারেকটিলা , নীলাদ্রি সহ আশেপাশের অন্যান্য জায়গাও ঘুরে দেখা যাবে। মোটরসাইকেলে ২জন যেতে পারবেন, সারাদিনের জন্যে ভাড়া লাগবে ৮০০-১৩০০ টাকা এবং সিএনজিতে ১২০০-১৬০০ টাকা। খরচ কমাতে চাইলে সুনামগঞ্জ থেকে বাইকে বা সিএনজিতে লাউড়েরগড় পর্যন্ত গিয়ে নৌকায় নদী পার হয়ে যেতে পারবেন শিমুল বাগান।